যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পণ্যের ওপর পূর্বনির্ধারিত ৩৫ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে, যা পূর্বাভাসের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম। এই সিদ্ধান্তকে “গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয়” বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে জানান, এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা পেয়েছে এবং বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে প্রবেশাধিকারে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন করায় আমরা আলোচক দলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। শুল্ক নির্ধারণে ১৭ শতাংশ পয়েন্ট হ্রাস একটি বড় সাফল্য। এটি আমাদের কৌশলগত সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবস্থানকে তুলে ধরে।”
তিনি আরও বলেন, “গত ফেব্রুয়ারি থেকে আমাদের আলোচকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। শুল্ক, অ-শুল্ক এবং নিরাপত্তা বিষয়ক জটিল আলোচনার মধ্য দিয়ে তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পথ পাড়ি দিয়েছেন।”
চুক্তির ফলে বাংলাদেশের তুলনামূলক সুবিধা বজায় থাকবে বলেও জানান তিনি। তাঁর মতে, “এই অর্জন কেবল একটি অর্থনৈতিক চুক্তি নয়; বরং এটি আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা, কৌশলী নেতৃত্ব এবং সমৃদ্ধির ভিশনের প্রতিফলন।”
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ৩১ জুলাই হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় নতুন শুল্কহার প্রকাশ করা হয়। আগে বাংলাদেশকে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের কথা জানানো হয়েছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ শতাংশ কমিয়ে তা ২০ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন