যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। এর ফলে আজ ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশকে মোট ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে পণ্য রপ্তানি করতে হবে— যার মধ্যে রয়েছে আগে থেকে বিদ্যমান ১৫ শতাংশ গড় শুল্ক এবং নতুন ঘোষিত ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে শুধু বাংলাদেশ নয়, আরও কয়েকটি দেশের ওপর বিভিন্ন হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তান, ভারত, ব্রাজিল, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কাসহ অন্তত ১০টি দেশ রয়েছে। মিয়ানমারের ওপর সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়েছে, আর ভারতের ক্ষেত্রে হার ২৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য ঘাটতির অজুহাতে বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ শুরু করে। তখন বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়। পরে ৯ এপ্রিল তিন মাসের জন্য এই শুল্ক স্থগিত করা হয়, এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেই সময়সীমা ৯ জুলাই শেষ হয়। এর আগে ট্রাম্প বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়ে জানান, শুল্ক ৩৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। তবে চূড়ান্ত ঘোষণা আসে ৩১ জুলাই।
শুল্ক কমাতে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছে। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের নেতৃত্বে এই দলে আরও রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী। তারা গত তিন দিন ধরে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদের (USTR) সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
বাংলাদেশ সরকার আশা করছে, চলমান আলোচনার মাধ্যমে শুল্কহার কমানো সম্ভব হবে এবং রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
মন্তব্য করুন