তিতাস প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনায় ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে এক রোগীর চোখ নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনো বৈধ চিকিৎসা সনদ ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন।
আজ বুধবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য হলে যোগ করুন), হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষেমালিকা চাকমার নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযুক্ত মো. মহসীনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মো. ফয়েজ এবং হোমনা থানা পুলিশের একটি দল।
ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম শামীম, পেশায় একজন মোবাইল ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী ও হোমনা সদরের বাসিন্দা। তিনি চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যায় স্থানীয় “শারবীন চশমা ঘর” নামের একটি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে যান।
সেখানে নিজেকে “চক্ষু বিশেষজ্ঞ” দাবি করে মো. মহসীন তাকে তিনটি ড্রপ ও একটি অয়েনমেন্ট দেন। ওষুধ ব্যবহারের পর তার চোখে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয় এবং কয়েক দিনের মধ্যেই এক চোখে সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারান তিনি।
পরে ঢাকায় চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে গেলে জানা যায়, ভুল চিকিৎসা ও ওষুধ ব্যবহারের ফলে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। চিকিৎসা দীর্ঘদিন চললেও চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসবে কিনা তা অনিশ্চিত।
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে দেখা যায়, মো. মহসীনের চিকিৎসা প্রদানের জন্য কোনো বৈধ সনদ বা নিবন্ধন নেই। এ কারণে তাকে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে চিহ্নিত করে দণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।
আদালতের রায়ে বলা হয়, ভবিষ্যতে তিনি যেন আর কোনো চিকিৎসা কার্যক্রমে জড়িত না হন, সে মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামাও দিয়েছেন অভিযুক্ত মো. মহসীন।
এ বিষয়ে ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন,
“ভুল চিকিৎসার কারণে একজন মানুষের দৃষ্টি হারিয়ে যাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এ ধরনের প্রতারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও এ অভিযান চলবে।”
সচেতনতা জরুরি:
চোখ বা অন্যান্য জটিল সমস্যার জন্য শুধু অনুমোদিত, সনদপ্রাপ্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভুয়া চিকিৎসকরা প্রতারক – এদের থেকে সাবধান থাকুন।
মন্তব্য করুন