বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রথমেই ৫৩ বছরের রাজনৈতিক ব্যর্থতার বিচার এবং গণহত্যার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে পিরোজপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা শাখার আয়োজনে এক সমাবেশে তিনি বলেন, “৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা জনগণকে শুধু ধোঁকা দিয়েছে। মানুষ চায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, গুম-খুন এবং ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি।”
তিনি বলেন, “আগে হবে গণহত্যার বিচার, তারপর প্রয়োজনীয় সংস্কার, এবং এরপর সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই নির্বাচন অবশ্যই ‘প্রতিনিধিত্বমূলক পদ্ধতি (PR)’ অনুসরণে হতে হবে। আর কোনো স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট শাসনের উত্থান বাংলাদেশের মানুষ সহ্য করবে না।”
সমাবেশে জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন পীর সাহেব চরমোনাই। তিনি বলেন, “যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রকৃত উদ্বেগ আছে, সেখানে জাতিসংঘ নেই। অথচ বাংলাদেশে, যেখানে আমাদের আইন-আদালত ও জনগণ সচেতন, সেখানে তারা মানবাধিকার কার্যালয় খুলতে চায়। এটা আমাদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ।”
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আমরা জাতিসংঘের কোনো মানবাধিকার কার্যালয় বাংলাদেশে চাই না। বিদেশি হস্তক্ষেপ দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে।”
জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া হাওলাদারের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মাদ মনিরুল হাসানের সঞ্চালনায় আয়োজিত এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, “২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের মানুষ এখন একটি ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখছে। মানব রচিত মতবাদ দিয়ে এ স্বপ্ন পূরণ সম্ভব নয়।”
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন, যুব আন্দোলন, ওলামা পরিষদ ও ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন