গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর ১৬ জুলাইয়ের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হামলার ঘটনায় নানা বিতর্ক ও অভিযোগ উঠে এসেছে। দলটির দাবি, তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে প্রতিহত করতে শাসকদলের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিভিন্ন সূত্রের বরাতে অভিযোগ উঠেছে, একাধিক ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মাধ্যমে গোপালগঞ্জে এনসিপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় নেতৃত্ব দেন ছাত্রলীগের একাধিক নেতা, যারা বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকাভুক্ত বলে জানা গেছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, দলীয় নির্দেশনার ভিত্তিতে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগঠিত হয়ে একযোগে এনসিপির গাড়িবহরে ইটপাটকেল, গুলি ও বিস্ফোরক নিক্ষেপ করা হয়। একইসঙ্গে পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
হামলার সময় এনসিপির নেতাদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। দলটি দাবি করে, তাদের গোপালগঞ্জে প্রবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বাধা দিতে পরিকল্পিতভাবে বহুমুখী হামলা পরিচালিত হয়।
এ বিষয়ে শাসকদল বা সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এনসিপি জানিয়েছে, তারা হামলার ঘটনায় তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তির দাবিতে আইনি পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন