বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের কৃতিত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটি গোষ্ঠী রাজনৈতিকভাবে সুবিধা নিয়েছে। অথচ, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত নায়করা ছিলেন অন্যরা, আর সেই কৃতিত্ব জোর করে নিয়ে গেছে এক পরিবার। তবে দেশের জনগণ এখন সবকিছু স্পষ্টভাবে বোঝে।
শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি কনভেনশন হলে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ১ জুলাইয়ের আন্দোলন ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, যেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারেক রহমান। বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিশাল অংশগ্রহণে এই আন্দোলন এগিয়ে যায়, যেখানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরাই। তারপরও বিএনপি কখনও কৃতিত্ব নিয়ে বিভাজন তৈরি করতে চায় না।
এসময় আমীর খসরু আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ওয়াসিম আকরামের নামে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ হয়েছে এবং তার নামেই একটি পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে—এটি সাধারণ মানুষের মনে তাদের অবদান চিরস্থায়ী করে রাখবে।
আয়োজনের শুরুতে আওয়ামী লীগের শাসনকাল ও জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলন নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সভায় আরও বক্তব্য দেন ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, অধ্যাপক ড. এস এম নসরুল কাদির, ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিম, শামসুল হক হায়দরী, মুস্তাফা নঈম, অ্যাডভোকেট বদরুল আনোয়ার, সালেহ নোমান, ডা. আশরাফুল কবির ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট আবদুল সাত্তার, অ্যাডভোকেট তারিক আহমেদ, অ্যাডভোকেট মুফিজুল হক ভূঁইয়া, ডা. ঈসা চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মেজবাউল আলম, আবদুল হক, মেহরাব হোসেন খান, ইঞ্জিনিয়ার মো. ওসমান ও সিদ্দিক আল মামুন।
সভাটি সঞ্চালনা করেন অ্যাডভোকেট হাসান আলী চৌধুরী ও ডা. ইফতেখার ইসলাম লিটন।
মন্তব্য করুন