নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের প্রক্রিয়াকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শুরুতে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে কমিশন গঠনের দাবিতে অটল থাকলেও, এবার তারা এ বিষয়ে আগের অবস্থান থেকে সরে এসে সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৮তম দিনের সংলাপে এ অবস্থান জানায় বিএনপি। সংলাপে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার কেন্দ্রে ছিল নির্বাচন কমিশনসহ চারটি সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের প্রক্রিয়া।
বিএনপির পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন নিয়োগ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাবিত কমিটিতে থাকবেন সংসদ নেতা, স্পিকার, প্রধান বিরোধী দলের প্রতিনিধি, বিরোধী দলের মনোনীত ডেপুটি স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতির একজন প্রতিনিধি। এই কাঠামোকে অন্যান্য দলও সমর্থন করে।
সংলাপ শেষে কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রিয়াজ জানান, ইসি নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি কার্যকর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, “সংবিধানে নির্বাচন কমিশনের গঠনপ্রক্রিয়া সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হলে নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপের সুযোগ কমে যাবে।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, “শুধু ইসিই নয়, সব সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের পদ্ধতিও সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত।”
সংলাপের শুরুতে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি নিয়ে সরকারের ভূমিকার প্রতিবাদ জানিয়ে সিপিবি, বাসদ এবং বাংলাদেশ জাসদ প্রতীকী ওয়াকআউট করে। তবে পরে তারা সংলাপে যোগ দেয়। তারা অভিযোগ করেন, দুর্ঘটনা নিয়ে সরকার দায়িত্বশীল আচরণ করেনি এবং শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমনে ফ্যাসিবাদী কায়দায় হস্তক্ষেপ করেছে।
মন্তব্য করুন