📚 — সহীহ বুখারী, হাদীস: ২৮৯৬
📖 হাদীসের ব্যাখ্যা ও শিক্ষণীয় দিক:
এই হাদীসটি আমাদেরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তা হলো— গরীব, দুঃস্থ ও সমাজের প্রান্তিক মানুষের প্রতি দয়া, সহানুভূতি ও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
✅ ১.
রিজিকের প্রকৃত উৎস:
এই হাদীস থেকে বোঝা যায়, মানুষের রিজিক শুধু তার পরিশ্রমের ফল নয়, বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বরকতময় অনুগ্রহ। আর আল্লাহ তাআলা সমাজের গরীব ও অসহায় মানুষদের মাধ্যমেই আমাদের রিজিকের দরজা খুলে দেন।
✅ ২.
সমাজের গরীবরা আমাদের প্রতি আল্লাহর রহমতের একটি মাধ্যম:
যখন আমরা দরিদ্রদের সাহায্য করি, তাদের খাবার দেই, কাপড় দেই বা দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াই— তখন আল্লাহ আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং আমাদের রিজিকে বরকত দেন।
✅ ৩.
মুসলিম সমাজে সহানুভূতির ভিত্তি:
এই হাদীস সমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধ তৈরি করে। এটা আমাদের শেখায়— সমাজের দুর্বলদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো মানেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
✅ ৪.
নিজের লাভের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ:
গরীবদের সাহায্য করা কোনো “অপ্রয়োজনীয় দান” নয়, বরং নিজের রিজিক বাড়ানোর এক অন্যতম উপায়। এটি দুনিয়া ও আখিরাতে উভয়ের কল্যাণ বয়ে আনে।
🌸 উপসংহার:
আমরা যদি চাই— আল্লাহ আমাদের রিজিকে বাড়িয়ে দিন, জীবনে বরকত আনুন, রহমতের দরজা খুলে দিন, তাহলে আমাদের উচিত সমাজের গরীব, দুঃখী ও অসহায় মানুষদের প্রতি দয়া ও সহানুভূতি প্রদর্শন করা।
তাদের মুখে হাসি ফোটানো মানেই আমাদের জীবনে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও রহমত ডেকে আনা।
📌 স্মরণীয় কথা:
“যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে, দয়ালু আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন।” — সহীহ মুসলিম
মন্তব্য করুন