পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) সংলগ্ন এলাকায় প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর দিয়ে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে যুবদল সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ উঠার পর ছাত্রদলের অন্তর্গত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। সংগঠনের প্রতি ক্ষোভ ও নৈতিক অবস্থান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জেলা পর্যায় থেকে অন্তত ৯ জন নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হল শাখার ছাত্রদল কর্মী মোহাম্মদ আবু সায়ীদ ফেসবুক পোস্টে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেন। একইভাবে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ লিসানুল আলম লিসান এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সদস্য পারভেজ রানা প্রান্ত ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম রানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের পদত্যাগের খবর জানান।
পদত্যাগকারীদের মধ্যে আরও রয়েছেন—সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাসেল মিয়া, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের সদস্য মুহাম্মাদ রাব্বি মিয়া, গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিমুর রহমান জিসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইশতিয়াক রহমান এবং সিলেটের চুনারুঘাটের রানীগাঁও শাখার সহসভাপতি আরিফুল ইসলাম ইমরুল।
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিক্ষোভ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ছাত্রসমাজের দাবি, ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্র রাজনীতিতে সহিংসতা ও অপরাধের স্থান নেই—এমন বার্তাই দিচ্ছেন পদত্যাগকারী নেতারা।
মন্তব্য করুন