বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী রাজনৈতিক কর্মী ও সামাজিক আন্দোলনের সক্রিয় মুখ ড. ফয়জুল হক। শনিবার (১২ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
তবে পদত্যাগের ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় বিতর্ক। অনেকেই দাবি তোলেন—ড. ফয়জুল হক বিএনপির কোনো সাংগঠনিক পদেই ছিলেন না। এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি প্রমাণ স্বরূপ একটি প্যাডে নিজের নামসহ মালয়েশিয়া বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি পাঠিয়েছেন গণমাধ্যমের কাছে। সেখানে দেখা যায়, তিনি দলটির সহ-সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে ২০১৫ সালে দায়িত্ব পালন করেন। কমিটিতে তাঁর নাম তালিকার ৪০ নম্বরে উল্লেখ রয়েছে।
ড. ফয়জুল জানান, মালয়েশিয়া বিএনপির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ২০১৮ সালে তিনি ঝালকাঠী-১ ও ঝালকাঠী-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন ইসলামপন্থী ও সামাজিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, “আমি পাথর দিয়ে মানুষ হত্যা, চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসকে সমর্থন করি না। সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা বলার সাহস নিয়েই আমি রাজনীতি করেছি এবং করবো।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “জুলাই বিপ্লবের পর দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, যা দলের বর্তমান অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল। আমি চাই না আমার অবস্থানের কারণে কেউ বিব্রত হোক। বিএনপির শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি আমার শ্রদ্ধা চিরকাল থাকবে।”
নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে ড. ফয়জুল হক বলেন, “আমি ঝালকাঠী-১ আসন থেকে একটি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতির সামনে আসতে চাই। দলীয় ছায়ার বাইরে থেকে সত্য, ন্যায় ও ধর্মীয় মূল্যবোধের পক্ষে কথা বলাই হবে আমার রাজনীতির মূল লক্ষ্য। মৃত্যুর আগপর্যন্ত এই পথেই অবিচল থাকতে চাই।”
তিনি সবাইকে তার জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান এবং বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন