সাম্প্রতিক সময়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত, দেশ-বিদেশে পলাতক এবং ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পাসপোর্ট নবায়ন বা নতুন করে ইস্যু করা হবে না। নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত ৪ মে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর আইন মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তালিকা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিগত জুলাই-আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পটপরিবর্তনের সময় যেসব ব্যক্তি মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বা বর্তমানে পলাতক, তারা অনেকে পাসপোর্ট নবায়নের চেষ্টা করছেন। এটি দেশের আইন ও নিরাপত্তার পরিপন্থী বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠির সঙ্গে ৪ মে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তসংবলিত একটি অনুলিপিও সংযুক্ত করা হয়, যেখানে এসব ব্যক্তির আবেদন বাতিল করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোকে এসব ব্যক্তির তালিকা দূতাবাস ও বিদেশি মিশনগুলোতে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছ থেকেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তালিকা চাওয়া হয়েছে, যাতে কেউ বাদ না পড়ে।
এর আগে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ৩ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছিল। পাশাপাশি তদন্ত সংস্থাগুলোর আবেদনের ভিত্তিতে আরও কিছু পাসপোর্টও ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে।
নতুন এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশ থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ও পলাতকদের বিদেশ গমনে আইনি বাধা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন