Alam
৩০ জুলাই ২০২৫, ৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
অনলাইন সংস্করণ
পাঠক সংখ্যা ৩৮ জন

শুল্ক কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ সংকেত পেয়েছে বাংলাদেশ: বাণিজ্য সচিব

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় দফা বাণিজ্য সংলাপের প্রথম দিনেই আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ। বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানান, ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের (USTR) কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, বাংলাদেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক কমানো হতে পারে।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে সাংবাদিকদের তিনি জানান, “আমরা বেশ ইতিবাচক বার্তা পেয়েছি। শুল্ক যথেষ্ট কমবে বলে আশ্বাস মিলেছে। তবে নির্দিষ্ট হারে কতটা কমবে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না।”

ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলে এ বৈঠক। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সহকারী ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ব্রেন্ডন লিঞ্চ।

চলতি বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ ৬০টি দেশের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়, যার আওতায় বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক ১৫.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২২-২৩ শতাংশ হয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী তা ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে, যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।

তবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে একটি অবস্থানপত্র পাঠানো হয়। আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির পাশাপাশি আমদানিও বাড়াবে, যাতে বাণিজ্য ঘাটতি কমে।

বর্তমানে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের উদ্বৃত্ত প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার, যেখানে ভিয়েতনামের ঘাটতি ১২৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এই তুলনা তুলে ধরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে শুল্ক ছাড়ের অনুরোধ জানিয়েছে।

এছাড়া, বাংলাদেশ বোয়িং কোম্পানি থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনা, প্রতি বছর সাত লাখ টন গম আমদানি, সয়াবিন, এলএনজি, তুলা ও সামরিক সরঞ্জাম আমদানির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যে শুল্কহার নির্ধারণ করেছে, তা বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশের হার ১৫ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে থাকতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে। আলোচনা বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) শেষ হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আশা করছে, আলোচনা সফল হলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বহুলাংশে বাড়বে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের উদ্ধার প্রসঙ্গে সেনাসদরের বক্তব্য

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সামাজিক বৈষম্য কমায়: ডা. বিধান রঞ্জন

মার্কিন ভিসা: শিক্ষার্থীদের যে নির্দেশনা দিলো ঢাকার দূতাবাস

পিআর পদ্ধ‌তিতে উচ্চকক্ষ চায় কমিশ‌ন, রা‌জি নয় বিএনপি

১০ আগস্ট থেকে ভারতের ‘ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ফি’ বাড়ছে

সেই রাজ্জাকের আরেক বাসার খোঁজ পেল পুলিশ, টাকা উদ্ধার

মেন্দি সাফাদির সঙ্গে মিটিং নয়, ছবি তুলেছিলেন নুর

১০০ আসনের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত কমিশনের

সরকারে এলে ৫০ লাখ নারীকে ফ্যামিলি কার্ড দেয়ার ঘোষণা তারেক রহমানের

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দি‌লে মামলায় যাবে জামায়াত

১০

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি: রিয়াদের বাড্ডার বাসা থেকে আরও ৩ লাখ টাকা উদ্ধার

১১

জামায়াত আমিরের খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১২

শেখ রেহানাসহ তিন সন্তানেরও বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

১৩

নাহিদের বক্তব্যে সাদিক কায়েমের প্রতিক্রিয়া

১৪

শিগগিরই নির্বাচনের সময় ঘোষণা হবে: আইন উপদেষ্টা

১৫

যা কিছু হোক, নির্বাচনে দেরি হবে না: প্রেস সচিব

১৬

আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন ট্রাম্প, জানালেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

১৭

শিবির নেতা সাদিক কায়েমকে নিয়ে নাহিদের পোস্ট

১৮

শিবির, সাদিক কাইয়ুম এবং ‘ক্যু পরিকল্পনা’ নিয়ে নাহিদের পোস্ট জাতীয় | 31st July, 2025 1:07 pm জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া সমন্বয়কদের সাবেক সংগঠন ও অভ্যুত্থানে শিবিরের ভূমিকা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন নাহিদ ইসলাম। একইসঙ্গে, শিবির নেতা সাদিক কায়েম এবং পাঁচ আগস্টের আগে আর্মি ক্যু পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে এসব বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। পোস্টে শিবির নেতা সাদিক কায়েমের বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, সম্প্রতি একটা টকশোতে তিনি বলেছেন ছাত্রশক্তির গঠনপ্রক্রিয়ায় শিবির যুক্ত ছিল, শিবিরের ইনস্ট্রাকশনে আমরা কাজ করতাম। এটা মিথ্যাচার। এরপর তিনি বলেন, ‘গুরুবার আড্ডা’ পাঠচক্রের সাথে জড়িত একটা অংশ এবং ঢাবি ছাত্র অধিকার থেকে পদত্যাগ করা একটা অংশ মিলে ছাত্রশক্তি গঠিত হয়। সাথে জাবির একটা স্টাডি সার্কেলও যুক্ত হয়। একটা নতুন ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুবার আড্ডা পাঠচক্রে দীর্ঘসময় ধরে কাজ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে আট বছর রাজনীতি করছি। ফলে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব সংগঠন ও নেতৃত্বকে আমরা চিনতাম এবং সকল পক্ষের সাথেই আমাদের যোগাযোগ ও সম্পর্ক ছিল। সেই কারণে ঢাবি শিবিরের সাথেও যোগাযোগ ছিল। যোগাযোগ, সম্পর্ক বা কখনও সহযোগিতা করা মানে এই না যে তারা আমাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল। সাদিক কায়েম বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক ছিল না জানিয়ে নাহিদ বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি এই পরিচয় ব্যবহার করেছেন। অভ্যুত্থানে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণেই সাদিক কাইয়ুমকে প্রেস ব্রিফিং এ বসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সাদিক কাইয়ুমরা অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ঢালাও প্রচারণা করেছে এই অভ্যুত্থান ঢাবি শিবিরই নেতৃত্ব দিয়েছে, আমরা সামনে শুধু পোস্টার ছিলাম। অভ্যুত্থানে শিবিরের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করে নাই। কিন্তু এই অভ্যুত্থান শিবিরের একক নয়, শিবিরের ইনস্ট্রাকশন বা ডিরেকশনও হয় নাই। আমরা সব পক্ষের সাথে যোগাযোগ করেই সিদ্ধান্ত নিতাম। আর কারা ক্ষমতার ভাগ বাঁটোয়ারা করতে চাইছে, গোষ্ঠী স্বার্থ রক্ষা করতে চাইছে সে বিষয়ে অন্যদিন বলবো বলেও জানান এনসিপির এই নেতা। আর্মি ক্যু নিয়েও মুখ খুলেছেন এনসিপির আহ্বায়ক। তিনি বলেন, গত বছরের ২ আগস্ট রাতে জুলকারনাইন সায়েররা একটা আর্মি ক্যু করে সামরিক বাহিনীর এক অংশের হাতে ক্ষমতা দিতে চেয়েছিল। এ উদ্দেশে কথিত সেইফ হাউজে থাকা ছাত্র সমন্বয়কদের চাপ প্রয়োগ করা হয়, থ্রেইট করা হয় যাতে সে রাতে ফেসবুকে তারা সরকার পতনের একদফা ঘোষণা করে আর আমাদের সাথে যাতে আর কোনো যোগাযোগ না রাখে। রিফাতদের বিভিন্ন লেখায় এ বিষয়ে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের বক্তব্য ছিল একদফার ঘোষণা মাঠ থেকে জনগণের মধ্য থেকে দিতে হবে। আর যারা এভাবে চাপ প্রয়োগ করছে তাদের উদ্দেশ্য সন্দেহজনক। আমাদের ভিতর প্রথম থেকে এটা স্পষ্ট ছিল যে ক্ষমতা কোনোভাবে সেনাবাহিনী বা সেনাবাহিনী সমর্থিত কোনো গ্রুপের কাছে দেওয়া যাবে না। এতে আরেকটা এক-এগারো হবে এবং আওয়ামী লীগ ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হবে এবং আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটাকে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থান হিসেবে সফল করতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সামনে আগাতে হবে। পাঁচ অগাস্ট থেকে আমরা এ অবস্থান ব্যক্ত করে গিয়েছি বলেও জানিয়েছেন নাহিদ। একই পোস্টে মির্জা ফখরুলের একটি দাবিকেও অসত্য বলে উল্লেখ করেছেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সম্প্রতি একটা সাক্ষাৎকারে বলেছেন জাতীয় সরকারের কোনো প্রস্তাবনা ছাত্রদের পক্ষ থেকে তাদের দেয়া হয় নাই। তারা অন্য মাধ্যমে এ প্রস্তাবনা পেয়েছিল। এই বক্তব্যটি সত্য নয়। নাহিদের দাবি, ৫ আগস্ট রাতের প্রেস ব্রিফিং এ আমরা বলেছিলাম আমরা অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার করতে চাই। সেই প্রেস ব্রিফিং এর পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সাথে আমাদের ভার্চুয়াল মিটিং হয় সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জাতীয় সরকার ও নতুন সংবিধানের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তারেক রহমান এ প্রস্তাবে সম্মত হননি এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদের দিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সাজেশন দেন। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথা বলি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে। এরপর, ৭ আগস্ট ভোরবেলা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বাসায় আমরা উনার সাথে অন্তর্বর্তী সরকার ও উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে আলোচনা করি। উপদেষ্টা পরিষদ শপথ নেবার আগে জনাব তারেক রহমানের সাথে আরেকটি মিটিং এ প্রস্তাবিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা হয়।

১৯

তাসকিনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ প্রত্যাহার করলেন বন্ধু

২০