শহীদ কিশোরের কবর থেকে মিলল ‘কালো জাদুর’ রহস্যময় বস্তু
“কবরস্থানে কুফরি তৎপরতা খুবই জঘন্য” — শহীদ তাহমিদের বাবা
নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদী, ২৮ জুলাই
নরসিংদীতে এক শহীদ শিক্ষার্থীর কবর থেকে উদ্ধার হয়েছে ‘কালো জাদু’ বা ব্ল্যাক ম্যাজিকের ব্যবহারযোগ্য রহস্যজনক কিছু বস্তু। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া কিশোর তাহমিদ ভূঁইয়া তামিমের কবরের পাশে মাটি খুঁড়তে গিয়ে এসব জিনিস দেখতে পান শ্রমিকরা।
ঘটনাটি ঘটে রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে, নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর পূর্বপাড়া সামাজিক কবরস্থানে। সেখানে শহীদ তাহমিদের কবর বাধানোর কাজ চলছিল। মাটি খোঁড়ার সময় শ্রমিকদের কোদালে বাধা পেয়ে ওঠে কৌতূহল। পলিথিনে মোড়ানো রহস্যজনক বস্তুটি খুলে তারা দেখতে পান, এর মধ্যে একটি ছোট পুতুল, সুই সদৃশ পিন এবং কিছু লেখা ও ছবি সম্বলিত কাগজ রয়েছে।
অশুভ কামনার ইঙ্গিত
কাগজে লেখা ছিল:
“তাসলিমার মেয়ে তানজিনার বিচ্ছেদ তাহার এর ছেলে উজ্জ্বল এ দুজনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ শুরু হোক… তালাক হয়ে যাক।”
এই লেখাকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক ও ক্ষোভ।
‘কালো জাদু’ বা তান্ত্রিক চর্চার ইঙ্গিত?
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রবীণ আলতাফ মাহমুদ বলেন, “কালো জাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিক আদিকাল থেকেই চলে আসছে। শয়তানের সন্তুষ্টি লাভে এসব করা হয়, যাতে অন্যের ক্ষতি বা জীবন ধ্বংস করা যায়। এতে ব্যবহৃত হয় পুতুল, পশু, এমনকি মানুষের ব্যবহৃত জিনিসও। এসব জাদুবিদ্যার অপপ্রয়োগ রোধে সামাজিক সচেতনতা জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “এইসব তাবিজ-কবচ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা বা পানিতে গলিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া উচিত। পাশাপাশি তান্ত্রিক বা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরে রাখা দরকার।”
শহীদ তাহমিদের পরিবারের প্রতিক্রিয়া
তাহমিদের বাবা রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন,
“কবরস্থান কোনো তাবিজ-কুফরি বা অশুভ তৎপরতার জায়গা নয়। এখানে যারা কালো জাদু করেছে, তারা অমানবিক ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া মানুষ। ইসলামে এসব সম্পূর্ণ হারাম। আমাদের সমাজকে এসবের হাত থেকে বাঁচাতে হবে।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান
এলাকাবাসী মনে করছেন, শহীদের কবরকে ব্যবহার করে এই ধরনের কুফরি কর্মকাণ্ড পুরো সমাজের জন্য হুমকি। তারা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মন্তব্য করুন