সাবেক মেয়র ও আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের অন্তত চারটি দেশে তাপস ও তার স্ত্রী আফরিন তাপসের নামে রয়েছে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগ।
বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে তার মোটা অঙ্কের সম্পদ রয়েছে। সিঙ্গাপুরের অভিজাত অর্চার্ট রোড ও মেরিনা বে এলাকায় রয়েছে কয়েক কোটি টাকার অ্যাপার্টমেন্ট। সেখানে অল রিয়েল এস্টেট, সিঙ্গাপুর হসপিটালস লিমিটেড এবং এভিয়েশন সিঙ্গাপুর নামের প্রতিষ্ঠানে ১৬৭ কোটি টাকার শেয়ার রয়েছে তার নামে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে তিনি ২০১১ সালে একটি আইন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান (ল ফার্ম) চালু করেন, যা ২০১৩ সাল থেকে সক্রিয়। সেখানে বর্তমানে আটজন আইনজীবী কাজ করছেন। তাপস বর্তমানে সরাসরি ফার্মটি পরিচালনা করছেন। লন্ডনের কিংস স্টোন ও সাউথ লন্ডনে রয়েছে তার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট।
দুবাই ও মালয়েশিয়াতেও রয়েছে তার একাধিক অ্যাপার্টমেন্ট। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় সম্পত্তি এবং নিউইয়র্কের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
তাপসের বিদেশ সফরের প্যাটার্ন থেকেও অনিয়মের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। প্রতি বছর তিনি বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর, সেখান থেকে যুক্তরাজ্য, পরে যুক্তরাষ্ট্র এবং ফেরার পথে দুবাই হয়ে দেশে ফিরতেন। ধারণা করা হচ্ছে, এসব সফর ছিল বিদেশে অবৈধ অর্থ পাচার ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার অংশ।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রাথমিক তদন্তে তাপস ও তার স্ত্রীর নামে মোট ৫৩৯ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন চিহ্নিত করেছে। এ ছাড়া দেশে ও বিদেশে অনিয়মের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অনানুষ্ঠানিক তথ্য পাওয়া গেছে।
তবে এখনও পর্যন্ত দুদক বা সিআইডি তার বিদেশি সম্পদের বিষয়ে কোনো আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চায়নি বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন