- জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫ গঠন: সময়োপযোগী বেতন কাঠামোর সুপারিশে কাজ করবে নতুন কমিশন
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ‘জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫’ গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন, ধারা ১৫ অনুযায়ী এই কমিশন গঠন করা হয়েছে, যা জাতীয় বেতনস্কেলের আওতাভুক্ত সব সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর সুপারিশ তৈরি করবে।
📌
কমিশনের কাজ ও লক্ষ্য
জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫ কাজ করবে নিম্নলিখিত ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সুপারিশ তৈরি করতে:
- 🧾 সময়সাপেক্ষ ও যৌক্তিক বেতন কাঠামো নির্ধারণ
- 🎓 বিশেষায়িত পেশাজীবীদের (যেমন ডাক্তার, প্রকৌশলী) জন্য পৃথক বেতন কাঠামো নির্ধারণ
- 💰 আয়কর বিবেচনায় বেতন কাঠামো স্থিরকরণে সুপারিশ
- 🏠 বেতন-বহির্ভূত সুবিধা নির্ধারণ – যেমন:
- বাড়িভাড়া
- চিকিৎসা
- যাতায়াত
- আপ্যায়ন
- প্রেষণ
- উৎসব/বিনোদন ভাতা
- 📈 মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন সমন্বয় পদ্ধতি নিরূপণ
- 🧓 পেনশন ও অবসরকালীন সুবিধা হালনাগাদ
- 🔍 কর্মীদের কাজের মান নিরূপণ ও তা বেতন কাঠামোয় প্রতিফলন
- 📱 সরাসরি সেবা (মোবাইল, গাড়ি, ফোন ইত্যাদি) আর্থিক সুবিধায় রূপান্তর
- 🪜 গ্রেড ও ইনক্রিমেন্টে অসংগতি দূরীকরণের সুপারিশ
- 🧮 রেশন সুবিধার যৌক্তিকীকরণ
🧮
সুপারিশের ভিত্তি হিসেবে বিবেচ্য বিষয়সমূহ
কমিশন নীচের বিষয়ের ভিত্তিতে সুপারিশমালা তৈরি করবে:
- 🏠 একটি ৬ সদস্যের পরিবারের জীবিকা নির্বাহের ব্যয়
- 🧒 দুই সন্তানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যয়
- 📊 দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও রাজস্ব পরিস্থিতি
- 🏢 প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়-ব্যয় পরিস্থিতি
- 🎯 দারিদ্র্য নিরসন, দক্ষ কর্মী নিয়োগ ও প্রশাসনের সেবার মান বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা
🕒
সময়সীমা
কমিশন প্রথম সভার তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে সরকারের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেশ করবে।
🟢
প্রভাব ও গুরুত্ব
এই কমিশনের কার্যক্রমের মাধ্যমে:
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ও ভাতার কাঠামো আধুনিক ও বাস্তবসম্মত হবে
- মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় উপযুক্ত সমন্বয় হবে
- প্রশাসনের দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হবে
- সাধারণ জনগণের সেবার মান উন্নত হতে পারে
🔚
উপসংহার
এই কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জীবনমান উন্নত হবে, পাশাপাশি প্রশাসন আরও দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক হওয়ার পথ সুগম হবে।