চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার: ‘নৈতিকতা’র বুলি দেওয়া রিয়াদ এখন রিমান্ডে
‘রাজনীতি তারাই করুন, যারা মানুষের সেবা করতে চান। নিজের জন্য কিছু করতে চাইলে ব্যবসা করুন, রাজনীতি নয়’—এমন আদর্শিক পোস্ট দিয়ে যিনি সামাজিক মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছিলেন, সেই আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ এখন নিজেই চাঁদাবাজির মামলায় রিমান্ডে।
সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে রিয়াদসহ আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রিয়াদের অতীত ফেসবুক পোস্ট এবং বিভিন্ন বিতর্কিত ছবি এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল, নৈতিকতার মুখোশ উন্মোচনের এক বাস্তব উদাহরণ তৈরি করছে।
🔴 চাঁদাবাজির অভিযোগের সারসংক্ষেপ:
- 📆 ১৭ জুলাই: রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু গুলশানে শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন।
- ❌ টাকা না দিলে ‘আ.লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের ভয় দেখানো হয়।
- 💸 পরবর্তীতে বাদী সিদ্দিক আবু জাফর তাদের ১০ লাখ টাকা দেন।
- 📆 ২৬ জুলাই: আবারও টাকা চাইতে গেলে গুলশান থানা পুলিশ রিয়াদসহ পাঁচজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।
🧑⚖️ রিমান্ড আদেশ:
- 📍 আদালত: অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান
- 📅 তারিখ: ২৭ জুলাই
- 🕐 বিকেল ৪টা: চার আসামিকে আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তা
- 📜 রিমান্ড চাওয়া হয়: ১০ দিন
- ⚖️ রিমান্ড মঞ্জুর: ৭ দিন করে চারজনের
- আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ
- সাকাদাউন সিয়াম
- সাদমান সাদাব
- মো. ইব্রাহিম হোসেন
🧒 এক শিশু আসামি আমিনুল ইসলামের বিচার আলাদাভাবে শিশু আদালতে হবে।
🟣 রিয়াদের ভাইরাল ফেসবুক পোস্ট:
- নৈতিকতা নিয়ে বক্তৃতা:
“রাজনীতি তারাই করুন, যারা মানুষের সেবা করতে চান…”
- সাদাত হাসান মান্টোর উদাহরণ:
“আজান দেয় বাটপার, ইমামতি করে খুনি, নামাজ পড়ে চোর…”
- এ বক্তব্য এখন অনেকেই তার নিজের দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
- বিভিন্ন রাজনৈতিক ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি
- সামাজিক মাধ্যমে নতুন করে ঘুরে বেড়াচ্ছে, প্রশ্ন তুলছে—এই ব্যক্তিই কি নৈতিকতার মুখপাত্র?
🛑 ঘটনাটির তাৎপর্য:
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইমেজ সংকট:
অভিযুক্তরা সংগঠনের ব্যানার ব্যবহার করে অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে—এ নিয়ে সংগঠন থেকে আগেই কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সব কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।
- রাজনীতির নামে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি:
এই ঘটনা রাজনীতির শুদ্ধিকরণ এবং তরুণ নেতৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও গভীর প্রশ্ন তুলছে।
🔚 উপসংহার:
আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ একসময় নৈতিকতার কথা বলে যেভাবে তরুণদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেছেন, এখন তার নিজ আচরণ সেই কথার সম্পূর্ণ বিপরীত। এই ঘটনা মনে করিয়ে দেয়—আদর্শের মুখোশ পরে রাজনীতিতে নামলে, মুখোশ একদিন খুলে যায়।