১০০ আসনের উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত পাস, আপত্তি জানালো বিএনপি ও সমমনা জোট
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় সংসদে ১০০ আসনের একটি উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় গৃহীত হয়েছে। এই উচ্চকক্ষ গঠিত হবে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে (PR), যেখানে জাতীয় নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে সদস্য মনোনয়ন দেওয়া হবে। তবে এ সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি, তাদের সমমনা জোট ও কয়েকটি বামপন্থী দল।
বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট
বিএনপি ও তাদের জোটভুক্ত দলগুলো এই পদ্ধতির বিরোধিতা করে একটি ‘নোট অব ডিসেন্ট’ জমা দিয়েছে। তারা দাবি করছে, উচ্চকক্ষের সদস্য নির্বাচন হওয়া উচিত জাতীয় নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত আসনসংখ্যার ভিত্তিতে, শুধুমাত্র প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে নয়। তাদের মতে, এভাবে কেবল ভোটের শতাংশ বিবেচনায় সদস্য মনোনয়ন দেওয়া হলে গণরায়ের প্রকৃত প্রতিফলন নাও ঘটতে পারে।
বাম দলগুলোরও আপত্তি
বাংলাদেশের দুই বাম দল সিপিবি (বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি) এবং বাসদ (বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল) উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার ধারণার বিরোধিতা করেছে। তাদের পক্ষ থেকেও এই প্রস্তাবের বিপক্ষে নোট অব ডিসেন্ট জমা দেওয়া হয়েছে।
তাদের মতে, উচ্চকক্ষ একটি অতিরিক্ত কাঠামো তৈরি করবে, যা বিদ্যমান সংসদীয় কার্যপ্রণালিকে জটিল করতে পারে এবং বাস্তবায়নে প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি করবে।
কমিশনের সিদ্ধান্ত
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী,
“উচ্চকক্ষ গঠনের মাধ্যমে সংসদীয় কাঠামো আরও ভারসাম্যপূর্ণ হবে। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করলেই জাতীয় ঐক্য ও সব দলের অংশগ্রহণে এক ধরনের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে।”
উল্লেখ্য, এই উচ্চকক্ষের সদস্য মনোনয়ন দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে বণ্টিত হবে, যা প্রত্যক্ষ ভোটে না হলেও একটি তুলনামূলক গণতান্ত্রিক প্রতিফলন হবে বলে অভিমত দিয়েছেন প্রস্তাবনা-পক্ষের সদস্যরা।
পূর্ববর্তী ঐক্যমতের অগ্রগতি
এর আগে প্রথম দফার আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলো ৬২টি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায়, যা একাধিক গণতান্ত্রিক সংস্কারের ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।
সংবাদটি সম্পাদনায়: [আপনার পত্রিকার নাম]
প্রকাশের তারিখ: ৩১ জুলাই, ২০২৫
মন্তব্য করুন