পূর্বাচলে ৩০ কাঠা প্লট জালিয়াতি: শেখ রেহেনা ও সন্তানদের বিরুদ্ধে তিন মামলায় বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নিজস্ব প্রতিবেদক
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে জালিয়াতির মাধ্যমে প্লট বরাদ্দের ঘটনায় শেখ রেহেনা ও তার তিন সন্তানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দায়ের করা পৃথক তিন মামলায় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
তবে আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত থাকায় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামী ১৩ আগস্ট মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলার বিবরণ ও আসামির তালিকা
দুদকের দায়ের করা তিনটি মামলায় মূল আসামির তালিকায় রয়েছেন:
দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, “তিন মামলায় মোট ৫৩ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে বিভিন্ন মামলায় শেখ রেহানা, টিউলিপ, রাদওয়ান, আজমিনা ও শেখ হাসিনার নাম রয়েছে।”
সরকারি কর্মকর্তারাও আসামির তালিকায়
এছাড়া, এসব মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা ও সাবেক মন্ত্রী, যেমন:
অভিযোগের সারাংশ
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে নিয়মবহির্ভূতভাবে ছয়টি প্লটের বরাদ্দ নেন। প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর সড়কে অবস্থিত এই প্লটগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয় কূটনৈতিক জোনে।
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা এবং তার সন্তানদের নামে এসব প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।
প্লট বরাদ্দের সময়সীমা ও পর্যালোচনা অনুযায়ী:
আইনি ধারা ও অপরাধের কাঠামো
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক বলছে, বরাদ্দ পাওয়া এইসব প্লট তাদের নৈতিক বা আইনি অধিকারভুক্ত নয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা এসব সম্পত্তি নিজেদের নামে গ্রহণ করেছেন, যা রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাতের শামিল।
মন্তব্য করুন