তাসকিন আহমেদ ও বন্ধুর মধ্যে বিরোধের অবসান, পারিবারিক সমঝোতায় অভিযোগ প্রত্যাহার
ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার তাসকিন আহমেদ সম্প্রতি একটি ব্যক্তিগত বিতর্কে জড়ান, যেখানে তার বিরুদ্ধে এক বন্ধুকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগকারী ছিলেন তাসকিনের ছোটবেলার বন্ধু সিফাতুর রহমান সৌরভ। ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার ঝড় তোলে। তবে কয়েকদিনের টানাপড়েনের পর, বুধবার (৩০ জুলাই) পারিবারিক সমঝোতার ভিত্তিতে সৌরভ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ তুলে নিয়েছেন।
গণমাধ্যমে দেওয়া এক বক্তব্যে সৌরভ জানান, “দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে মুচলেকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। এটি ছিল বন্ধুত্বের ভুল বোঝাবুঝি ও কথার কাটাকাটি থেকে শুরু হওয়া একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি। আমি আগে সরি বলিনি, অভিযোগও দেইনি। আজ পারিবারিকভাবে বসে সমাধান করা হয়েছে।”
সৌরভ আরও বলেন, তাসকিনের বাবা সম্পর্কে তার নানা হন এবং দুই পরিবারের পুরোনো সম্পর্কের কারণেই সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। যদিও তিনি তাসকিনের ক্রিকেটীয় ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন, বন্ধুত্বের জায়গায় কিছুটা দুঃখও প্রকাশ করেছেন। “তাসকিন আমার ছোটবেলার বন্ধু। ওর সামনে অনেক সুযোগ আছে দেশকে দেওয়ার। কিন্তু আমি এখনও ট্রমাটাইজড। বন্ধু হিসেবে মানিয়ে নিতে সময় লাগবে,” — বলেন তিনি।
সৌরভের খালা ঝুমা খান জানান, “৪৮ ঘণ্টার সময় চাওয়া হয়েছিল। আজ পারিবারিকভাবে বসে একটি লিখিত মুচলেকার মাধ্যমে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ভবিষ্যতে যেন এমন কোনো ঘটনা আর না ঘটে। সেই অঙ্গীকারই করা হয়েছে।”
ঘটনার শুরু থেকেই তাসকিন আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, “এটা ভিত্তিহীন খবর। আমার আরেক বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল, সে আমার নাম বলেছে। আমার সঙ্গে ওর কোনো ঝগড়াই হয়নি। সবাইকে অনুরোধ করবো, গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। এটি আমার, আমার পরিবারের এবং বন্ধুর সম্মানের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।”
শেষ কথা
ক্রিকেটার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্পর্ক সবসময় আবেগময় হয়। তাসকিন-সৌরভের ঘটনাও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে পারিবারিক সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা হওয়ায় দুই পরিবারের সদস্য এবং ভক্ত-সমর্থকরাও স্বস্তি পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন