নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মদপুর বাজারে ১১টি দোকানে তালা লাগিয়ে দখলের অভিযোগে জামায়াত নেতা রুহুল আমিনসহ চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) তাদের নাটোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুর রহমান সুমনের আদালতে হাজির করা হলে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রুহুল আমিন, তার ভাই বিএনপি নেতা হায়দার আলী, আরেক ভাই আজিম উদ্দিন ও তাদের বাবা মজিবর রহমান।
এর আগে সোমবার বিকেলে ওই চারজন আহম্মদপুর বাজারে গিয়ে ১১টি দোকান নিজেদের মালিকানা দাবি করে তালা লাগিয়ে দেন। এতে দোকানগুলোর স্বাভাবিক ব্যবসা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর সহায়তা চাইলে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাগজপত্র যাচাই শেষে দোকানগুলোর তালা খুলে দেন এবং অভিযুক্তদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখল চেষ্টার অভিযোগে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে নাটোর শহরের একটি কনফারেন্স সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতের নেতারা দাবি করেন, ঘটনাটি একটি পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারের চেষ্টার অংশ ছিল। জেলা জামায়াতের আমির ড. মীর নুরুল ইসলাম জানান, রুহুল আমিন ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বেহাত হওয়া সম্পত্তি ফিরে পেতে চেষ্টা করছিলেন। তবে দোকানে তালা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে তিনি ‘অযথোপযুক্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি কেন্দ্রীয় জামায়াত পর্যবেক্ষণ করছে এবং দলীয় পরিচয়ের অপব্যবহার বা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাদেকুর রহমান, নায়েবে আমির দেলোয়ার হোসেন ও সহকারী সেক্রেটারি আতিকুল ইসলাম রাসেলসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন