মিরসরাইয়ে বিএনপি ও যুবদলের শীর্ষ পাঁচ নেতা বহিষ্কার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত
স্টাফ রিপোর্টার
চট্টগ্রাম ● ২৯ জুলাই ২০২৫
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অভ্যন্তরীণ সহিংসতা ও সংগঠনের ক্ষতি সাধনের অভিযোগে বিএনপি ও যুবদলের শীর্ষ পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। একই রাতে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবের রহমান শামীম চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটি বিলুপ্তির বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
বহিষ্কৃত নেতাদের নাম
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন—
১. চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও মিরসরাইয়ের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন,
২. উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন,
৩. বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী,
৪. মিরসরাই উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন,
৫. জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম।
বহিষ্কারের কারণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়—
“আপনি দলের ভেতরে সংঘাত ও হানাহানি সৃষ্টি করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপিকে চরম বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। আপনার অসহিষ্ণু ও আধিপত্যকামী মনোভাবের কারণে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও সহিংসতা চরমে পৌঁছেছে। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও আপনি বিশৃঙ্খলা অব্যাহত রেখেছেন। ফলে বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে বহিষ্কার করা হলো। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।”
কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা
একইদিন রাতে কেন্দ্রীয় বিএনপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাখ্যান, বিক্ষোভ মিছিল
বহিষ্কার আদেশে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বহিষ্কৃত নেতা নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা। তারা রাত ১০টার দিকে বড়তাকিয়া বাজার ও করেরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলে ‘বহিষ্কার আদেশ মানি না’, ‘নুরুল আমিনের নেতৃত্ব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
এ ঘটনায় স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে একে দলীয় শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বলে স্বাগত জানালেও, অন্যরা এটিকে গোষ্ঠীগত কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন।
মন্তব্য করুন