রাউজানে বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে আহত ২০, মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাঙচুর
স্টাফ রিপোর্টার
চট্টগ্রাম ● ২৯ জুলাই ২০২৫
চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে রাউজান উপজেলার হালদা নদীর সাত্তারঘাট সেতুর পাশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, বিএনপির প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন আহমেদের কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে গোলাম আকবর খোন্দকার ও তার অনুসারীরা একটি গাড়িবহর নিয়ে রওনা হলে, পথে হালদা ব্রিজের কাছে তারা হামলার শিকার হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ১০০ জনের একটি দল আকস্মিকভাবে গাড়িবহরের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। মুহূর্তেই সংঘর্ষে রূপ নেয় পরিস্থিতি। এ সময় গোলাম আকবর খোন্দকারের বহরে থাকা চারটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং তার গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন রাউজান বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাবেক সচিব নাসিম উদ্দিন চৌধুরী, তার এপিএস আশিকুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, আওরঙ্গজেব ও নাইম উদ্দিন। তাদের সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের বিষয়ে গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন,
“আমাকে আগেই জানানো হয়েছিল যে আমার ওপর হামলা হতে পারে। বিষয়টি পুলিশকেও জানিয়েছিলাম। কিন্তু যথাযথ নিরাপত্তা না থাকায় গাড়িবহরের ওপর হামলা চালানো হয়।”
ঘটনার জন্য বিএনপির অপর গ্রুপ তথা ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের দায়ী করেছেন খোন্দকারপন্থিরা।
চট্টগ্রাম জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন,
“আমরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় থাকতে পারিনি। আজ শুধু প্রয়াত নেতার কবর জিয়ারতের জন্য এসেছিলাম। কিন্তু আমাদের বাধা দিয়ে হামলা করা হয়েছে। এমনকি আমাদের মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।”
সংঘর্ষের পর খোন্দকারপন্থিরা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। বর্তমানে পুরো রাউজান জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ঘটনাস্থলে।
এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে মামলা দায়ের হয়নি বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন