নাটোরে চাঁদা না পেয়ে ১০ দোকানে তালা, জামায়াত নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহাম্মেদপুর বাজারে চাঁদা না পেয়ে অন্তত ১০টি দোকানে জোরপূর্বক তালা লাগানোর অভিযোগে জামায়াত নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—জোয়ারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি রুহুল আমিন (৪৫), তার ভাই জামায়াত কর্মী আজিমুদ্দিন (৪০), একই এলাকার হায়দার আলী (৪৫) এবং তার বাবা মুজিবর রহমান (৭০)।
সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করা হয় এবং মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে তাদের নাটোর আদালতে সোপর্দ করা হয়।
চাঁদার দাবিতে দোকানে তালা, সেনাবাহিনী উদ্ধার করে পুনরায় চালু
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অভিযুক্তরা আহাম্মেদপুর বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে মাসিক ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করছিলেন। ব্যবসায়ীরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা জোর করে দোকানগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেন।
ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করলে, নাটোর অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প ও বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ যৌথভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তালা খুলে ব্যবসা পুনরায় চালু করতে সহায়তা করে এবং চারজনকে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করে।
মামলা, উত্তেজনা এবং দলীয় প্রতিক্রিয়া
ঘটনার পর বাজারজুড়ে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, “সেনা সদস্যরা চারজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “ঘটনার বিষয়ে দলীয়ভাবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। উচ্চপর্যায়ের রোকনদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।”
মন্তব্য করুন