ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ছাড়া সম্পর্ক নয়: আবারও দৃঢ় বার্তা দিল সৌদি আরব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নয়—এই অবস্থান আবারও দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিল সৌদি আরব। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, “ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত করেই কেবল টেকসই শান্তি সম্ভব।”
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) প্যারিসে জাতিসংঘের একটি সম্মেলনের ফাঁকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, টেকসই শান্তি এবং প্রকৃত সংহতি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হচ্ছে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।”
প্রিন্স ফয়সাল আরও বলেন, “এই অবস্থান আমাদের নতুন কিছু নয়—এক বছর আগেই এটি স্পষ্ট করেছিলেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।”
সৌদি আরবের এই বার্তা এমন এক সময়ে এল যখন ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার দীর্ঘদিন ধরে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান প্রত্যাখ্যান করে আসছে। পশ্চিম তীরের বহু এলাকা আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে তেলআবিব, যা ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করে ফিলিস্তিনিরা।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৮০, অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৭
ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে গাজা উপত্যকা। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গেল ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এছাড়া অপুষ্টি ও অনাহারে প্রাণহানি বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার নতুন করে আরও ১৪ জন মারা গেছেন, যাদের মধ্যে দুজন শিশু। এ নিয়ে অনাহারে মোট প্রাণহানি দাঁড়িয়েছে ১৪৭ জনে, যাদের মধ্যে ৮৮ জনই শিশু।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন, অনেকে আহত হয়েও হাসপাতালে পৌঁছাতে পারছেন না।
মানবিক বিপর্যয়ের মুখে গাজা
বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজায় পরিস্থিতি এখন চরম মানবিক বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে। খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও চিকিৎসাসেবার চরম ঘাটতির কারণে হাজার হাজার মানুষের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দাবি, যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি অবিলম্বে পূর্ণমানবিক সহায়তা নিশ্চিত না হলে ফিলিস্তিনি জনগণের বিপর্যয় আরও গভীর হবে।
মন্তব্য করুন