চীনের উত্তরাঞ্চলে টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী বেইজিং ও আশপাশের পাহাড়ি অঞ্চলগুলো।
চীনের সরকারি সূত্র অনুসারে, বেইজিংয়ের মিয়ুন জেলায় পাহাড়ি এলাকায় অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শহরের আরও একটি এলাকা ইয়াংচিংয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরও দুইজন। হ্যবেই প্রদেশে ভূমিধসের ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন এবং আটজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু সড়ক ও অবকাঠামো। প্রায় ১৩৬টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এবং প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মিয়ুন জেলা থেকেই সরে গেছেন ১৭ হাজারের বেশি বাসিন্দা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, পাহাড়ি ঢলে সৃষ্টি হওয়া বাদামি বন্যার পানি আবাসিক এলাকায় ঢুকে পড়েছে, গাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং বৈদ্যুতিক খুঁটিও উপড়ে ফেলেছে। অনেক রাস্তা নদীতে পরিণত হয়েছে।
বেইজিং কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের বন্যা সতর্কতা জারি করেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শহরের সব স্কুল, পর্যটন কেন্দ্র এবং গ্রামীণ হোমস্টে ও ক্যাম্পিং কার্যক্রম। আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করেছে, পাহাড়ি এলাকাগুলোতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের সম্ভাবনা এখনও ‘চরম ঝুঁকিপূর্ণ’ অবস্থায় রয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ভয়াবহ। তিনি নিখোঁজদের সন্ধানে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং দুর্গত অঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন