জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রণীত ‘জুলাই সনদ ২০২৫’-এর খসড়া প্রকাশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এই খসড়া পাঠানো হয়েছে পর্যালোচনার জন্য। অংশীদার রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতির ভিত্তিতে এটি চূড়ান্ত সনদ হিসেবে স্বাক্ষরিত হবে।
খসড়া সনদে মোট সাতটি মূল অঙ্গীকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে রাজনৈতিক, সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি উঠে এসেছে। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, হাজারো মানুষের ত্যাগ ও আন্দোলনের ফসল হিসেবে প্রস্তাবিত এই সনদ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মপন্থা নির্ধারিত হবে।
সাতটি অঙ্গীকারের মূল বিষয়বস্তু হলো:
১. জনগণের আন্দোলন ও আত্মত্যাগের ভিত্তিতে গঠিত এই সনদ পূর্ণভাবে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার।
২. শাসনব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন ও প্রশাসনিক কাঠামোতে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ও আইনগত সংশোধনের প্রতিশ্রুতি।
৩. সনদ অনুমোদনের পর দুই বছরের মধ্যে এসব সংস্কার সম্পন্ন করে টেকসই রূপদানের সংকল্প।
৪. নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে (দুই বছর) সনদের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি।
৫. সংস্কারপ্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার ঘোষণা।
৬. পুরো বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সাংবিধানিক ও আইনি নিরাপত্তা প্রদানে প্রত্যয়।
৭. ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের তাৎপর্যকে সংবিধানে স্বীকৃতি দেওয়ার অঙ্গীকার।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, এই সনদকে কেন্দ্র করে একটি টেকসই ও গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। সনদ নিয়ে চূড়ান্ত মতামত গ্রহণের পর এটি স্বাক্ষরিত হয়ে দেশের সামনে একটি ঐতিহাসিক দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
মন্তব্য করুন