মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম জানিয়েছেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাত নিরসনে উভয় দেশ একটি তাৎক্ষণিক ও শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রাজায়ায় আনোয়ারের সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। আলোচনায় অংশ নেন থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম উইচাইয়াচাই এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন ম্যানেট।
আনোয়ার বলেন, “এই আলোচনার ফলাফল অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যা দুই দেশের মানুষের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা বয়ে আনবে।”
মালয়েশিয়ার এই উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মহলও সমর্থন জানিয়েছে। আনোয়ার জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ নেতৃত্ব আলোচনার আগে ও পরেও উভয় পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখেছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানে উৎসাহ দিয়েছে।
যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে, ২৮ জুলাই মধ্যরাত থেকে উভয় পক্ষ সংঘর্ষ বন্ধে সম্মত হয়েছে। আনোয়ার একে ‘শান্তির পথে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেন।
ত্রিপক্ষীয় এই আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল সীমান্তে সহিংসতা থামানো, যেখানে গত কয়েক সপ্তাহে ৩৫ জনের মৃত্যু ও ২৭০,০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের রাষ্ট্রদূতেরাও উপস্থিত ছিলেন বলে মালয়েশিয়ার এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, এক্স (সাবেক টুইটার)-এ হুন ম্যানেট লেখেন, “থাইল্যান্ডের সঙ্গে সংঘাতের অবসান ঘটানো ও যুদ্ধবিরতি অর্জনই আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল, আমরা তা অর্জন করেছি।”
তবে আলোচনার আগে থাই প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম সাংবাদিকদের বলেন, “কম্বোডিয়া প্রকৃত শান্তিচুক্তি চায় কি না, তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। আমরা তাদের আন্তরিকতা এই বৈঠকে যাচাই করব।”
মন্তব্য করুন