🔥
“জুলাই মানি মেকিং মেশিন হয়ে গেল”—এর পেছনের বাস্তবতা
উমামা ফাতেমা আক্ষেপ করে বলেছেন যে, যে আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, তা পরে কিছু মানুষের ব্যক্তিগত লাভের উপায় হয়ে দাঁড়ায়। তার বক্তব্য অনুযায়ী:
- জুলাই-আগস্টে আন্দোলন ছিল বাস্তব অভ্যুত্থানের মতো।
- কিন্তু পরবর্তীতে সেটা চাঁদাবাজি, জায়গা দখল, তদবির ও টেন্ডার বাণিজ্যের প্ল্যাটফর্মে রূপ নেয়।
- তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, এতবড় একটা আন্দোলন কিভাবে বাণিজ্যের হাতিয়ার হতে পারে।
🧠
সমন্বয়কদের ভূমিকা ও বিকৃতি
উমামা অভিযোগ করেন:
- আন্দোলনের প্রকৃত চেতনার বাইরে গিয়ে “সমন্বয়ক” পরিচয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু হয়।
- কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের “দখলদার” হিসেবে উপস্থাপন করেন।
- এমনকি তিনি তুলনা করেন — “রক্ষী বাহিনীর মতো সমন্বয়ক বাহিনী তৈরি হচ্ছে নাকি।”
😔
ব্যক্তিগত হতাশা ও একাকীত্ব
তিনি খুব স্পষ্ট করে বলেন:
- আন্দোলন থেকে বের হয়ে গেলে তাকে আলাদা করে ফেলা হয়, ডাকাও হতো না।
- অনেক শত্রু তৈরি হয়েছে, মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছেন।
- নিজেকে ভুল বোঝার সংখ্যা এত বেড়েছিল, তিনি “তবদা খেয়ে যান।”
💭
আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা
উমামা মনে করেন:
- এখন শুধু ছাত্রদের আন্দোলন নয়, বৃহত্তর জনগণকে একত্রিত করা দরকার।
- গণঅভ্যুত্থানকে আরও ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।
- তরুণরা এখনও চেষ্টা করছে কিছু করতে — তাদের আশা ও সম্ভাবনা রয়েছে।
🎓
নিজস্ব অবস্থান স্পষ্ট করা
তিনি বলেন:
- তার ব্যক্তিগত বা অর্থনৈতিক লোভ নেই।
- পরিবারের সাপোর্ট আছে, স্কলারশিপ বা অর্থের প্রয়োজন নেই।
- তিনি চান দেশের জন্য কিছু করতে।
✍️ সারসংক্ষেপ:
উমামা ফাতেমার বক্তব্য একটি আত্মসমালোচনামূলক ও আবেগপ্রবণ প্রকাশ, যেখানে তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে একটি জনগণভিত্তিক ছাত্র আন্দোলন দলীয় রাজনীতির, ক্ষমতার ও লোভের শিকার হতে পারে। এটি শুধুই তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নয়, বরং বর্তমান প্রজন্মের আন্দোলনের বিশ্বাসযোগ্যতা, নৈতিকতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন তোলে।