ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন অবশেষে দৃশ্যমান হলো – কিন্তু পূর্ণ বাস্তবায়নের পথ এখনো বাকি।

চলতি বছরের ২৩ মার্চ, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ঘোষণা দিয়েছিল যে, নারায়ণগঞ্জে গুলিতে নিহত শিশু রিয়া গোপকে শহীদ ঘোষণা করে স্টেডিয়ামের নতুন নামকরণ করা হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, স্টেডিয়ামটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় “শহীদ রিয়া গোপ জাতীয় স্টেডিয়াম”।

তবে এই সিদ্ধান্ত সাড়ে তিন মাস কেবল কাগজে-কলমেই থেকে গিয়েছিল। অবশেষে ১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে স্টেডিয়ামের মূল ফটকে নতুন নামের প্রিন্ট করা সাইনবোর্ড টানানো হয়। এই সাইনবোর্ড দেখেই স্থানীয় অনেকেই নাম পরিবর্তনের বিষয়ে প্রথমবার অবগত হন।

স্থানীয় প্রতিক্রিয়া ও দাবিগুলো:

• মাহবুবুর রহমান (রামারবাগ): “সাইনবোর্ড না দেখলে জানতামই না যে নাম বদলেছে।”
• আব্দুর রহমান গাফফারি (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন): “আমরা বহুবার সাইনবোর্ড টানানোর দাবি জানিয়েছি। অবশেষে সেটা বাস্তবায়ন হয়েছে।”
• আবু হাসান (স্কুলছাত্র, শিবু মার্কেট):
  “দুঃখের বিষয়, কেবল প্রিন্টের সাইনবোর্ড দিয়ে দায় এড়ানো হয়েছে। আমরা চাই, অন্যান্য জাতীয় স্টেডিয়ামের মতো একটি স্থায়ী, সম্মানজনক নামফলক লাগানো হোক।”

প্রেক্ষাপট:

গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে, ছাদে খেলার সময় গুলিতে নিহত হয় ৬ বছর বয়সী শিশু রিয়া গোপ। এই মৃত্যু ছিল নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক হৃদয়বিদারক অধ্যায়। তার স্মরণে স্টেডিয়ামের নামকরণ জাতীয় প্রতীক ও স্মৃতি রক্ষার এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সারসংক্ষেপ:

নাম পরিবর্তনের ঘোষণার প্রায় ৩.৫ মাস পর সাইনবোর্ড টানানো হলেও, অনেকের দৃষ্টিতে এটি এখনো আংশিক বাস্তবায়ন। স্থানীয়রা চাইছেন, শিশু রিয়ার আত্মত্যাগের প্রতি যথাযথ সম্মান জানাতে স্থায়ী এবং দৃষ্টিনন্দন নামফলক স্থাপন করা হোক, যেন সেটি ইতিহাস ও স্মৃতির স্থায়ী অংশ হয়ে থাকে।