🏙️ ঢাকা শহরের ফুটপাত: হকার বনাম পথচারী, জীবিকা বনাম অধিকার
ঢাকা শহরের চিত্র এখন এমন—ফুটপাত আছে, কিন্তু পথচারীর চলার উপযোগী নয়। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে, হাসপাতালের সামনে, ব্যস্ত সড়কে এমনকি বাসস্ট্যান্ড ও বাজার এলাকার ফুটপাতগুলো এখন হকার, চায়ের দোকান, ফলের ঠেলাগাড়ি, নির্মাণসামগ্রী বা গাড়ির পার্কিংয়ে জর্জরিত।
এ যেন এক দ্বন্দ্ব—জীবিকার তাগিদ বনাম চলাফেরার অধিকার। আর এই দ্বন্দ্বে হারছে প্রতিদিনের পথচারী, বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্করা।
🚫 হকারের দখলে ফুটপাত
🛑 সমস্যার শিকড় কোথায়?
🗣️ হকারদের যুক্তি:
“ফুটপাতের বিকল্প নেই। কোথায় বসব? মার্কেটে দোকান নেয়ার সামর্থ্য নেই। এটাই আমাদের জীবিকা।”
🗣️ পথচারীদের ক্ষোভ:
“আমরা করদাতা, এই পথ আমাদের। ফুটপাতে হাঁটতে পারি না—এটা কোন নগরনীতি? যদি চলতে না পারি, তাহলে ফুটপাত রেখে লাভ কী?”
🧠 নগর বিশেষজ্ঞদের মত:
📌 ড. আদিল মুহাম্মদ খান, নির্বাহী পরিচালক, আইপিডি:
“ঢাকা শহর দেশের সব হকারকে ধারণ করতে পারবে না। কোন এলাকায় হকার বসবে, কোন এলাকায় বসবে না—তা স্পষ্টভাবে পরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন করতে হবে।”
📌 ডিএনসিসি প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন:
“ফুটপাত আছে, কিন্তু দখলমুক্ত রাখতে পারছি না। হকারদের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নিয়েই কাজ হচ্ছে।”
✅ কী করা প্রয়োজন?
🔚 উপসংহার:
ফুটপাত কেবল শহরের সৌন্দর্য নয়—এটি নাগরিক অধিকারের অংশ।
হকাররাও নাগরিক, তাদের জীবন-জীবিকার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সেটা পথচারীর নিরাপত্তা ও চলাচলের অধিকারকে উপেক্ষা করে নয়।
মন্তব্য করুন