যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: ‘স্বার্থ বিসর্জন নয়, বরং কূটনৈতিক বিজয়’ — প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
প্রকাশিত: ১ আগস্ট ২০২৫ | অর্থনীতি ডেস্ক
বাংলাদেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি — স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তবে এ চুক্তিকে “সরকারের জন্য একটি সফলতা” হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।
📢 “কোনো সামরিক চুক্তিও হয়নি” — শফিকুল আলম
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বেইলি রোডের নিজ বাসায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কহার নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে প্রেস সচিব বলেন:
“যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব চুক্তি হয়েছে, সেগুলো আসলে নন-ডিসক্লোজার (অপ্রকাশ্য)। অনেক কিছু জানলেও এখন বলা সম্ভব নয়। তবে বাংলাদেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কোনো চুক্তি করা হয়নি, কোনো সামরিক চুক্তিও হয়নি।”
তিনি আরও বলেন,
“২০ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে অন্য কোনো শর্ত দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়গুলো যতটা সম্ভব সহজীকরণ করা হবে।”
💼 প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান বজায় রাখছে বাংলাদেশ
শফিকুল আলম জানিয়েছেন,
“প্রতিযোগিতামূলক রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে তুলনামূলক ঘনিষ্ঠ শুল্কহার থাকায় বাংলাদেশ বাণিজ্যিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে না। বরং বাণিজ্য ঝুঁকি কমে আসছে।”
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার নানা পদক্ষেপ ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে, এবং ভবিষ্যতে তা আরও কমানোর উদ্যোগ চলবে।
🏛️ “একটি কূটনৈতিক বিজয়” — প্রধান উপদেষ্টা
একই দিনে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বিবৃতিতে বলেছেন:
“আমরা গর্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানাই। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয়।”
এই বিবৃতি পাঠায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
📊 নতুন শুল্ক কার্যকর ১ আগস্ট থেকে
এর আগে হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়,
১ আগস্ট ২০২৫ থেকে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র একই সঙ্গে আরও কয়েকটি দেশের ওপরও পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে:
🔍 বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ যেমন একটি সম্মানজনক শুল্কহার নিশ্চিত করেছে, তেমনি কূটনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও গভীর করেছে।
বিশেষ করে যেসব প্রতিযোগী দেশ বাংলাদেশ থেকে বেশি শুল্কের শিকার, তাদের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক।
মন্তব্য করুন